রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির তান্ডবে ঘরবাড়ি ও মৎস খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় বন্যহাতির দল রাতব্যাপী তান্ডব চালিয়ে এই ক্ষতি সাধন করে।
জানা যায়, নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের বিভিন্নস্থানে দীর্ঘদিন যাবত প্রায় ৪০/৪৫ টি বন্যহাতির দল তান্ডব চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের পাশ্ববর্তী বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় তান্ডব চালিয়ে জসিম উদ্দিনের বসতঘর ও রান্নাঘর ভেঙে তছনছ করে। একইসাথে উসমানের মৎস্য খামারের পুকুরে নেমে গোসল করে ও পানি পান করে। রাতব্যাপী তার তিনটি পুকুরে হাতির দল তান্ডব চালায়। এ সময় হাতির তান্ডবে এসব পুকুরের দেশীয় প্রজাতির মাছ মরে গিয়ে পুকুরে ভেসে ওঠে। এছাড়া বন্যহাতি ওই মৎস্য খামারের পাহাড়াঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। ওই ঘরে রাখা মাছের খাদ্যের বস্তা, টিউবওয়েল, পুকুর পাড়ের বাউন্ডারি, ঘরেরর আসবাবপত্র শুঁড় দিয়ে পেচিয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে তছনছ করে ফেলে। মৎস্য খামারের মালিক মোবারক আলী বলেন, আমার মাছের প্রজেক্টে হাতির দল তান্ডব চালিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। আমি দুশ্চিন্তায় আছি কেমনে এই ক্ষতি পুষিয়ে তুলবো। সংশ্লিষ্ট বুরুঙ্গা কালাপানি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন বলেন, বোরো ধান কাটার পর থেকে বন্যহাতির পাল খাবারের সন্ধানে আশপাশের ঘরবাড়িতে হামলা করছে। বন্যহাতির দল এখন গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবার করছে। পাহাড়ি এলাকার মানুষ জানমাল বাঁচাতে চিৎকার ও হৈ-হুল্লোড় করে রাত কাটাচ্ছেন। হাতির তান্ডব মোকাবিলা করতে মশাল জ্বালানোর কেরোসিন তেল পাচ্ছেন না তারা। তাই এই এলাকায় সরকারীভাবে হাতি তাড়ানোর জন্য কোরোসিন তেল বিতরণ করা প্রয়োজন। ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যদি থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর বন বিভাগের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন তাহলে সরকারিভাবে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সীমান্ত এলাকায় বন্যহাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। একইসাথে বন্যহাতির দ্বারা ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, আহত ও নিহত পরিবারকে সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তাই তিনি বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করার আহবান জানান।